ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড চীনের দক্ষিণ তিব্বত, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল
চীনের দক্ষিণ তিব্বত অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) চীনের আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা ১২৬ উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালের ওই ভূমিকম্পের পর একই অঞ্চলে একাধিকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়েছে। পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫-এ। আহত হয়েছেন আরও ১৩০ জন। প্রতিবেশী দেশ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর আগে, সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছিল, ভূমিকম্পে ৫৩ জন নিহত ও ৬২ জন আহত হয়েছেন।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি। ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে ডিংরি কাউন্টি। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন আরও বলছে, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে পর্যবেক্ষক পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হিমালয়ের মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রায়ই এলাকায় ভূমিকম্প আঘাত হানলেও গেলো পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।
এমআর//