দেশজুড়ে

পদোন্নতি নিয়ে মারধরের ঘটনায় শ্রমিক নিহত

পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানীর কম্পিউটার পদে পদোন্নতি নিয়ে মারধরের ঘটনায় মেহেদী হাসান নাঈম নামে এক কর্মচারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের মাসুদুল হক মুক্তারের ছেলে।

 বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাঈমের মৃত্যু হয়। ঈশ্বরদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ,  গতকাল ৮ জানুয়ারী  ঈশ্বরদী ইপিজেডের আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানীর এডমিন হাবিব আহমেদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটেএতে নাঈম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ইপিজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়। পরিবারের লোকজন নাঈমকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে নাঈম মারা যায়। 

 নাঈমের ফুফাতো ভাই আলম হোসেন  বলেন, নাঈম শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। তার হৃদরোগ বা শ্বাসকষ্ট ছিল না। মারধরের কারণেই নাঈমের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত। নাঈমকে পরিকল্পিত ভাবে মারা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে তারা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।    

 আই এইচ এম গার্মেন্টস এন্ড টেক্সটাইল কোম্পানীর এইচ আর এডমিন হাবিব আহমেদ বলেন, দুপুরে খাবারের পরপরই নাঈম বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত ইপিজেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে নাঈমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়েছি নাঈম মারা গেছেন। নাঈমকে মারধরের যে অভিযোগ উঠছে এটি সঠিক নয়।

 এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, নাঈমের মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন