তিন ঘণ্টা দেরিতে গাজা যুদ্ধবিরতি শুরু

নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা দেরিতে গাজা যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ( বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টা) এই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা ছিলো। হামাসের কাছ থেকে ইসরাইলি তিন বন্দীর নাম না পাওয়ায় গাজায় হামলা চালু রাখে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও জানিয়েছে, হামাস তাদের কাছে তিন জিম্মির নাম হস্তান্তর করেছে।
এর আগে ইসরাইল জানায়, হামাস যতক্ষণ পর্যন্ত জিম্মিদের নামের তালিকা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না। তাই সকালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও; তাদের সেনারা হামলা অব্যাহত রাখে। এই হামলায় ১৯জন ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপেই হামাস ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের জেলে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে।
এই সময়ের মধ্যে ইসরাইলি বাহিনীকে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ছাড়তে হবে। আর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা পাবে বাড়ি ফেরার অনুমতি। এই সময়ে ত্রাণবাহী লরিকে গাজায় ঢোকারও সুযোগ দেবে ইসরাইল।
চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে। এই ধাপেই মুক্তি পাবে পুরুষ ইসরাইলি সেনারা। তৃতীয় ও শেষ ধাপে হবে গাজার পুনর্গঠন, যা শেষ হতে লাগবে কয়েক বছর।
তবে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি স্থায়ী না হলে এবং ইসরাইলি বাহিনী গাজা না ছাড়লে তারা প্রথম ধাপের পর আর কোনো জিম্মিকে ছাড়বে না।
চুক্তির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী কাতার বলছে, প্রথম ধাপে যে জিম্মিরা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের মধ্যে বেসামরিক নারী, শিশু, নারী সেনা, বয়স্ক ব্যক্তি, অসুস্থ ও আঘাতপ্রাপ্ত বেসামরিকরা রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এক হাজার ২০০ ইসরাইলি নাগরিক মারা যান। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে সংগঠনটি। এই হামলার পর হামাসকে নিমুর্ল করতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নাগরিক মারা গেছেন।
এনএস/