দেশজুড়ে

ব্যারাকে ঝুলছিলো নারী কনস্টেবল, কলেজ হোস্টেলে ছাত্রী

পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের ব্যারাক থেকে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল ও সরকারি মহিলা কলেজের হোস্টেল থেকে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলেন পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস (২২) ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তার (১৮)।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে এ দুই মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে বায়ান্ন টিভিকে জানিয়েছেন পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ

পুলিশ জানায় নিহত তৃষা বিশ্বাস পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের নারী ব্যারাকের তৃতীয় তলার ৩ নাম্বার রুমে থাকতো। রোববার সকালে তাঁর ব্যাচমেট অর্পণা ও ফাতেমা ডিউটিতে অংশ নিলেও তৃষাকে দেখা যায়নি। পরে তাঁর আরেক সহকর্মী ইতি রানী মালো, তৃষাকে ডাকতে ব্যারাকে তৃতীয় তলায় যান। এসময় ইতি রানী রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে তৃষার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের খবর দেন।

পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুরুল আক্তার নিলয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসানের উপস্থিতিতে তৃষার মরদেহ নামানো হয়। নিহত তৃষা বিশ্বাস মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তৃষার স্বামী পুলিশ কনষ্টেবল আনন্দ বৈদ্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ওসি জানান, তৃষার রুমে কিছু ওষুধ ও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে। সে মানসিক ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বিষয়টি তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের কাউকে জানাননি।

পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে বিজ্ঞান বিভাগের  শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তারের রুম মেটরা নাস্তা করতে ডাইনিংয়ে যান। এসময় রিয়া মনি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রিয়া মনির রুমমেট আয়শা সিদ্দিকা বলেন, রিয়া মনি রাতে হোস্টেলে ছিল না। কোথায় ছিলেন তাও তারা জানেন নাসকালে সে রুমে আসেনাস্তা শেষে রুমে ফিরে তারা দেখেন ভেতর থেকে দরজা আটকানো। ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় জানালার ফাঁক দিয়ে রুমে উঁকি মারলে তার বান্ধবিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পানপরে দরজা ভেঙে তারা ভেতরে ঢোকেনরিয়া মনি কখনও কিছু তাদের সঙ্গে শেয়ার করেনি।

এ বিষয়ে ওসি জানান , রিয়া মনির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশমিনা উপজেলার নাহিয়ান নামে এক যুবককে থানায় আনা হয়েছে। তিনি নিজেকে রিয়া মনির স্বামী দাবি করছেন।

রিয়া মনি দশমিনা উপজেলার পূজাখোলা এলাকার মনিরুল ইসলামের মেয়ে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ

আই/এ

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন