বিদ্রোহীদের দখলে কঙ্গোর প্রধান শহর গোমা

কঙ্গোর গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শহরগোমার দখল নিয়েছে রুয়ান্ডা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম-২৩ বা মার্চ ২৩ মুভমেন্ট। সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এমন দাবি করে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এসোসিয়েটেড প্রেস এপি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান শহর গোমার জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। বিদ্রোহীদের এই কর্মকান্ডকে কঙ্গোর সরকার যুদ্ধ ঘোষণার সামিল বলে আখ্যায়িত করেছে।
এর আগে কঙ্গোর সেনাবাহিনীকে শহরটি ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলো এম-২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে এপি জানায়, সোমবার সকালে শহরজুড়ে ব্যাপক গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। হাজার হাজার মানুষ ইতোমধ্যে শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন।
এদিকে গোমা শহর দখল নেয়ার পর বাসিন্দারদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। এছাড়া শহরটিতে থাকা কঙ্গো সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্টেডিয়ামে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এর আগে রবিবার বিদ্রোহী এম-২৩ গোষ্ঠীর সাথে সংঘর্ষে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৩ জন সদস্য মারা যান। গোমা শহরের দিকে বিদ্রোহীদের অগ্রসর হওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছিলন তারা।
এদিকে এম-২৩’ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে রুয়ান্ডা সমর্থন দিচ্ছে- এমন অভিযোগ করেছে কঙ্গো, জাতিসংঘ ও সংগঠনটির বিশেজ্ঞরা। সমর্থনের এ দাবি প্রত্যাখান করেছে রুয়ান্ডা।
তবে গেলো বছর রুয়ান্ডা স্বীকার করেছে যে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুর্ব কঙ্গোতে তাদের সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন আছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের মতে, কঙ্গোতে রুয়ান্ডার প্রায় চার হাজারের মত সেনা রাখা আছে।
এদিকে শনিবার রুয়ান্ডার সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় কঙ্গো। পাশাপাশি সেখানে থাকা দেশটির কূটনৈতিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নেয়।
এক যুগের বেশি সময় আগে, ২০১২ সালে তুতসি সম্প্রদায়ভুক্ত কঙ্গোর সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সদস্যদের মাধ্যমে এম-২৩’ বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি তৈরি হয়। খনিজ সম্পদে ভরপুর কঙ্গোতে প্রায় ১০০ সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এম-২৩ তাদের মধ্যে একটি। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাতে লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছেন।
এনএস/