বিনোদন

অবিবাহিত হয়েও কেন সিঁদুর লাগাতেন লতা?

লতা মঙ্গেশকর চলে যাওয়ার পরেও যেন বাঙালির মননে জীবন্ত তিনি। বলিউডের সঙ্গীতের রাণী তিনি। তার সুরেলা গলা নিয়ে তিনি চিরকাল জীবন্ত থেকে যাবেন লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ে। পরপারে চলে গিয়েও যেন, মানুষের হৃদয়ে তার স্থায়ী বসবাস। লতাকে নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্নের কোনো অন্ত নেই। তার মধ্যে সবচেয়ে যেটা নিয়ে আজও চর্চা, অবিবাহিত হয়েও কেন সিঁথিতে সিঁদুর লাগাতেন তিনি।

কোনও দিন বিয়ে করেননি সুরসম্রাজ্ঞী। তবে শোনা যায়, লতা মঙ্গেশকর এক সময়ে প্রেমে পড়েছিলেন। জানা যায়, দুঙ্গারপুরের রাজ ঘরানার মহারাজ রাজ সিংহের প্রেমে পড়েছিলেন। লতার দাদার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এই রাজ সিংহ। তবে ভালোবাসা হলেও, ঘর বাধা হয়নি।

শোনা যায়, মহারাজ রাজ সিংহ নিজের মা-বাবাকে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে কোনো সাধারণ ঘরের মেয়েকে বানাবেন না জীবনসঙ্গী। আর সেই কথা রাখতেই, বেশিদূর এগোয়নি আর প্রেম। শোনা যায় তিনিও নাকি আর বিয়ে করেননি। সবসময় পকেটে রাখতেন একটি রেকর্ডার। যাতে থাকত লতার গান।

তাহলে কার নামের সিঁদুর পরতেন লতা? এই নিয়ে একবার কথা বলেছিলেন চল্লিশের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাবাসসুম। প্রয়াত অভিনেত্রী কেবল লতা মঙ্গেশকরের সাথে কাজ করার সুযোগই পাননি, বরং তাকে খুব কাছ থেকে জানার সুযোগও পেয়েছিলেন।

তাবাসসুম এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি নিজেই এই প্রশ্ন রেখেছিলেন লতার কাছে। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘একবার আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লতা দিদি, দয়া করে বলো তো, সারা পৃথিবী জানে তুমি অবিবাহিত, তুমি বিয়ে করোনি, তাহলে তোমার বিদায়ে সিঁদুর কার নামে? প্রথমে তিনি হাসেন তারপর আমাকে চাটি মেরে বলেন, ‘ছোট্ট তাবাসসুম, যাকে আমি ছোটবেলায় চকলেট খাওয়াতাম, আজ তার সাহস দেখো যে সে আমার জীবন সম্পর্কে এত গভীর এবং লুকানো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে।’

এরপর লতা তার প্রাণাধিক প্রিয় তাবাসসুমকে জবাব দিয়েছিলেন, ‘বাছা, সঙ্গীতই আমার কাছে সবকিছু। যদি সঙ্গীত না থাকে তাহলে আমিও নেই। আর এই সিঁদুরটা আমি আমার চুলের অংশে লাগাই... লোকেরা বলে তাদের স্বামীই তাদের ঈশ্বর। আর আমার কাছে, আমার ঈশ্বর, আমার প্রভু, সবকিছুই সঙ্গীত।’

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন