পপিকে নিয়ে ফেসবুকে যা জানালেন ওমরসানি
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরে রেখেছেন। ২০২০ সালে করোনা মাহমারির মধ্যেই আড়ালে চলে যান নায়িকা। গুঞ্জন ওঠে, তিনি বিয়ে করে সংসারি হয়েছেন। সিনেমা আর করবেন না। এরপর গুঞ্জন ওঠে, পপি পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। যদিও তিনি আড়ালে থাকায় সেসবের সত্যতা মিলছিল না। অবশেষে স্বামী-সন্তান নিয়ে প্রকাশ্যে আসেন নায়িকা।
তার বিরুদ্ধে ওঠা পৈতৃক সম্পত্তি দখলচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করে সে বিষয়ে নিজের অবস্থানও পরিষ্কার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে। এরই মাঝে জনপ্রিয় এই নায়িকাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ঢালিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী।
১৯৯৭ সালে ওমর সানির বিপরীতে কুলি ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউড চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছিলো পপির। এর বাইরে রয়েছে আরেকটি আত্মীয় সম্পর্ক। পপি হচ্ছেন ওমর সানীর স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ফুফাতো বোন। সেই সূত্রে পপি হলেন ওমর সানীর শ্যালিকা।
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডলে পপির বউ সাজের একটি ছবি পোস্ট করে তার উদ্দেশে ওমর সানী লিখেছেন, ‘তোর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা সম্মান, যোগাযোগ রাখিস না সেটা অন্য কথা, কিন্তু আমাদের দোয়া তোর জন্য মাটি থেকে আকাশ অব্দি, আল্লাহ তোকে ভালো রাখুক।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিনের আড়াল ভেঙে ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন পপি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। কারণ যাদের জন্য সবকিছু করলাম, জীবনের সুন্দর সময়গুলো যাদের জন্য বিলিয়ে দিলাম, তারা এখন আমার শত্রু। আমার ক্ষতি করতে চায়।’
নায়িকা বলেন, ‘আমি ছিলাম পরিবারের ডিম পাড়া হাঁস। আমার সবকিছু ছিল তাদের আন্ডারে। আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহায় সম্পত্তি সবকিছু ছিল তাদের আন্ডারে। আমার কাছে ছিল আমার দেহটাই। যখন আর কিছু দিতে পারিনি, তখন হয়েছি শত্রু। আমাকে খুন করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। এমনকি খুনিকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। এতে জড়িত ছিল আমার ভাই।’
পপি বলেন, ‘২০০৭ সালে আমি বুঝতে পেরেছিলাম আমার পরিবার আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তখন আলমগীর ভাই (চিত্রনায়ক) আমার বাবা-মাকে বলেছিলেন বিষয়টার সমাধান করতে। উনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি কখনো চাইনি একা কিছু করতে। শুধু বাবা-মা, ভাই-বোন নয়, আমার দাদির বাড়ি, নানির বাড়ির সবাইকে সহযোগিতা করেছি।’
প্রসঙ্গত, গেলো ৩ ফেব্রুয়ারি পপির বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেন নায়িকার ছোট বোন ফিরোজা পারভীন।
জিডিতে পপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, পারিবারিক জমি এককভাবে দখলে নিতে চান অভিনেত্রী। এ নিয়ে ভাই-বোনদের সঙ্গে বিবাদ চরমে পৌঁছালে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন পপি ও তার স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল।
এমআর//