কারাগারের দিনগুলো নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সালমান
সালমান খানকে নিয়ে তার অনুরাগীদের কৌতূহলের শেষ নেই। পর্দায় তার ছবি এলে মুহূর্তে ভরে যায় প্রেক্ষাগৃহ। পর্দার বাইরেও তার চলাফেরা, কথা বলার ধরনেও কুপোকাত অনেকে। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও জানতে আগ্রহী অনেকেই।
বলিউডের সুপারস্টার তিনি, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সলমন। তবে সেই নাম-যশ-খ্যাতির উর্ধ্বে জেলে এক সাধারণ কয়েদি হিসাবেই দিন কেটেছে সালমান খানের। সংশোধোনাগারে কাটানো সময় নিয়ে সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন ভাইজান। ভাইপো আরহান খানের পডকাস্ট ডাম্ব বিরিয়ানিতে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন নায়ক।
কঠোর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করার সময়, অভিনেতা জোর দেন যে ঘুমের প্রয়োজনের মতো অজুহাত তৈরি করা কেবল সাফল্যের পথে বাধা হিসাবে কাজ করে।
অভিনেতা বলেন, ‘কোনও দিন, আমি শটের ফাঁকে পাঁচ মিনিটের বিরতি পাব, তাই আমি চেয়ারে ঘুমিয়ে যাই। এমন জায়গায় যেখানে আমি কিছুই করতে পারি না, যেমন আমি যখন কারাগারে ছিলাম, আমি ঘুমাতাম। আমি কিছুই করতে পারতাম না... যখন আপনার কাজ বা পরিবারের কথা আসে, তখন আপনাকে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে ... আপনাকে শুধু বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কাজের জন্য সেখানে থাকতে হবে’।
১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ রয়েছে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই সময় দিন কয়েক জেলে কাটে অভিনেতার। এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় অভিনতা। কয়েকদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে, যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং কারাদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় সলমনকে। জামিন মেলার আগে দিন কয়েক সংশোধোনাগারে কাটিয়েছেন নায়ক।
জেএইচ