স্ত্রী সন্তানসহ শাহজাহান খানের বিরূদ্ধে দুদকের মামলার প্রতিবেদন ২৯ এপ্রিল
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, তার স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম, ছেলে মো. আসিবুর রহমানের বিরূদ্ধে আলাদা তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব মামলার এজহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এদিন ঠিক করেন। আজ রোববার দুদকের ঢাকার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এতথ্য জানা যায়।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন।
শাহজাহান খানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাজাহান খান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন। এ ছাড়া তার নামে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে ওই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ৯টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সন্দেহজনকভাবে ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৬৯ টাকা লেনদেন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
শাজাহান খানের স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগমের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাজাহান খানের স্ত্রী সৈয়দা রোকেয়া বেগম তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখায় সৈয়দা রোকেয়া বেগম ও শাহজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধায়া, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
শাহজাহান খানের ছেলে মো. আসিবুর রহমানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাহজাহান খানের ছেলে মো. আসিবুর রহমান তার পিতা শাজাহান খান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগদখলে রাখায় আসিবুর রহমান ও তার পিতার শাজাহান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা তৎসহ দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় ধারায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
জেএইচ