বিনোদন

পরপারে চলে গেলেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী

প্রতুল মুখোপাধ্যায় ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই। শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ককলকাতার শেঠ সুখলাল কর্ণনী মেমোরিয়াল (এসএসকেএম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ এর এক প্রতিবেদন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই প্রবীণ এই কণ্ঠশিল্পী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। ‘আমি বাংলায় গান গাই’খ্যাত এই শিল্পী গেলো দুই সপ্তাহ ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে। ওইসময় তাঁর নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। স্নায়ু এবং নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা হয়। সেইসময় ১৫ জানুয়ারি শিল্পীকে দেখতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ওইসময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায় ‘আমি বাংলায় গান গাই’গেয়ে শোনান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।

ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পীর আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। হার্ট অ্যাটাক হয় গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। পরীক্ষায় ধরা পড়ে  ফুসফুসেও সংক্রমণ তৈরি হয়েছে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের। দ্রুত অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণও তৈরি হয়েছে তাঁর শরীরে। যা পরিস্থিতিকে আরও জোরালো কর তুলেছে। আপাতত সংজ্ঞাহীন অশীতিপর গায়ক। চিকিৎসকদের নিয়ে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্য একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে।  গ্যালো সোমবার রাতেও বেশ সংকটজনক ছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি।

অবশেষে  চিকিৎসকদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে  শনিবার সকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই খ্যাতনামা শিল্পী।

প্রসঙ্গত, ১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ‘আমি বাংলায় গান গাই’-প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে বাংলা গানের জগতে অমরত্বের আসনে বসালেও তার গাওয়া আরো কিছু গান মানুষকে আন্দোলিত করেছে, আলোড়িত করেছে। এরমধ্যে ‘আলু বেচো, ছোলা বেচো, বেচো বাখরখানি/বেচো না বেচো না বন্ধু তোমার চোখের মণি।’ গানটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন