আন্তর্জাতিক

রিয়াদে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: শান্তি নাকি নতুন সংঘর্ষের বার্তা!

বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। ঠিক এমন এক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড়সড় আলোড়ন তুলেছে এক গুরুত্বপূর্ণ খবর—সৌদি আরবে দেখা হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের!

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক "খুব শিগগিরই" হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্য হবে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো।

ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই যুদ্ধ থামাতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি যুদ্ধ থামাতে চান। আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি।’

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও যুদ্ধ বন্ধের জন্য আগ্রহী।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি এবং খুব কঠোর পরিশ্রম করছি। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা কখনো শুরু হওয়া উচিত ছিল না।’

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সৌদি আরব এই বৈঠকের জন্য একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এটিকে একটি নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে তুলে ধরেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকে এই সংঘাত ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লাখো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে, অন্যদিকে রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যদি সত্যিই কোনো সমাধান আসে, তবে এটি হবে কূটনৈতিক ইতিহাসের এক বড় ঘটনা।

বিশ্লেষকদের মতে,  ট্রাম্প-পুতিনের এই সম্ভাব্য বৈঠক শুধু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের গতি পরিবর্তনই নয়, বিশ্ব রাজনীতির নতুন মেরুকরণকেও প্রভাবিত করতে পারে।

 

এসি//

 

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন