চার বছরের শিশুর আঁকা ছবিতে ফাঁস বাবার ভয়ংকর সত্য!
একটি খাতা। কয়েকটি শিশুতোষ আঁকা ছবি। আর তার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল এক নির্মম হত্যার চাবিকাঠি! ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঝাঁসিতে এক গৃহবধূর রহস্যময় মৃত্যু প্রথমে আত্মহত্যা বলে ধরা হলেও, চার বছরের শিশুকন্যার আঁকা ছবি ও বর্ণনা বদলে দিল তদন্তের মোড়। শিশুটির দাবিতে উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর সত্য— স্বামীই হত্যা করেছে স্ত্রীকে, এরপর তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে!
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঝাঁসির কোতোয়ালি এলাকায় ২৭ বছরের গৃহবধূ সোনালী বুধোলিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্বামী সন্দীপ বুধোলিয়া দাবি করেন, স্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশও প্রথমে বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসেবেই ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু এরপরেই আসে চমক!
সোনালীর চার বছরের মেয়ে পুলিশের কাছে জানায়, তার মা আত্মহত্যা করেননি, বাবাই তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে! শুধু কথাতেই নয়, সে প্রমাণও দেয়— তার আঁকা খাতার পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে নির্মম হত্যার দৃশ্য।
সে আঁকে কীভাবে তার বাবা মাকে মারধর করত, কীভাবে মাথায় পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিলেন মা। তার নিচে ছোট্ট হাতেই লিখে দেয়, “বাবাই মাকে খুন করেছে।”
শিশুটির এই বিবরণ মুহূর্তেই বদলে দেয় গোটা তদন্তের মোড়। পুলিশ দ্রুত সোনালীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং তার পরিবারের অভিযোগ আমলে নেয়।
জানা যায়, ২০১৯ সালে সোনালীর বিয়ে হয় সন্দীপের সঙ্গে। পণ হিসেবে ২০ লক্ষ টাকা দিলেও জামাই আরও অর্থের দাবি তোলে, চায় একটি গাড়ি। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে তা দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় অত্যাচার। একাধিকবার সোনালীকে নির্যাতন সহ্য করতে হয়, এমনকি একবার পুলিশের কাছেও অভিযোগ গিয়েছিল। কিন্তু তখন বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয়।
চার বছরের শিশুর অকাট্য সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সন্দীপকে গ্রেপ্তারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তদন্ত চলছে জোর কদমে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসি//