চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে হৃদয়ের হৃদয় রাঙানো সেঞ্চুরি
বাংলাদেশের হয়ে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। ততক্ষণে সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। হৃদয় ও জাকের মিলে দলকে টেনে নিয়েছেন লড়াই করার মতো জায়গায়।
দুবাইয়ের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে হৃদয় তার প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। তার এই শতক করতে খরচ হয়েছে ১১৪ বল। অপরপ্রান্তে তখন ছিলেন তাসকিন আহমেদ। আর পায়ে টান পড়ায় হৃদয় তখন বেশ ভুগছিলেন।
তবে সব ব্যথা ভুলে হৃদয় খেলে যাচ্ছিলেন। নিজের প্রথম সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, সেই অনুভূতি নিশ্চয়ই ছিল। আর দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার তাড়নাও থাকাটা স্বাভাবিক।
পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেছেন হৃদয়। যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তখন দলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। তিনি মাঠে থাকতেও অপরপ্রান্তে আরও দুই উইকেট হারাতে দেখেছেন। হৃদয়ের জন্য তাই মোটেই সহজ ছিল না সময়টা।
এই ব্যাটার জাকেরকে সঙ্গী করে ছক কষলেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ বড় করতে হবে। এই জায়গা থেকে অন্তত যতটুকু বড় করা যায়, সেই চেষ্টাই করতে থাকলেন। জাকেরও থিতু হতে থাকেন হৃদয়ের সঙ্গে।
হৃদয় তার হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৫ বলে। এর কিছুক্ষণ বাদে বাংলাদেশ দল ১৫০ ছুঁয়েছে। জাকের-হৃদয় জুটি একসময় ভেঙে যায়। জাকের আলী অনিক ১১৪ বল খেলে ৬৮ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। আর হৃদয়ের চোখ তখনো দূরে আটকে আছে, সেঞ্চুরিটা তো করতেই হবে!
শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন, শেষ ব্যাটার হিসেবে ফিরেছেন হৃদয়। তার ১০০ রানের ইনিংসে ছিল ৬ টি চার ও ২ টি ছক্কা। নব্বই পেরোনোর পর পায়ে টান পড়ে, সেই টান পড়া পা নিয়েই ক্রিজে আটকে ছিলেন এই ব্যাটার।
এমএইচ//