আ.লীগ নিষিদ্ধে স্মারকলিপি গণঅবস্থানকারী ছাত্র-জনতার
আওয়ামী লীগ ও মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে ফ্যাসিবাদি দল হিসাবে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থানকারী ছাত্র-জনতা। এছাড়া বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঢাবি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুহুল আমীনের নেতৃত্বে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি প্রদান করে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান, সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ, সহকারী সদস্য সচিব গালিব ইহসান, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কাগজপত্র উপস্থাপন করেন। জানা গেছে, পেশ করা স্মারকলিপির বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পরবর্তীতে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
স্মারকলিপিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য ৫ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে:
১. গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্র ১৪ দল এবং মহাজোটকে নিষিদ্ধ করা।
২. ফ্যাসিবাদী দল ও সংগঠনের কার্যালয় ও সম্পদ রাষ্ট্রীয়ভাবে অধিগ্রহণ করে তা পুনর্বাসনের কাজে ব্যবহার করা।
৩. ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সব মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, এমপি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে বিচারের মুখোমুখি করা।
৪. নব্য ফ্যাসিবাদী বা একই চরিত্রের যে কোনো দল ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা।
৫. ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলকে নিষিদ্ধ করার বিধান সংবিধানে সংযুক্ত করা।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজু ভাস্কর্যে লাগাতার গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচির ব্যবস্থাপনায় রয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ, উপদেষ্টা এবং সংসদের সদস্যদের ফ্যাসিস্ট ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং প্রতিদিন নাগরিকদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এমএ//