শাপলা চত্বর ও সাইদীর রায় ঘিরে হত্যাকাণ্ড, জাতিসংঘকে নথিভুক্ত করার অনুরোধ

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও যুদ্ধাপরাধের মামলায় দন্ডিত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে ঘিরে দেশে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেটিকে নথিভুক্ত করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা এ অনুরোধ করেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা বছরের পর বছর ধরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সব নৃশংসতা নথিভুক্ত করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব নৃশংসতার যথাযথ নথির প্রয়োজন রয়েছে। এই ডকুমেন্টেশন না হলে সত্য জানা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা কঠিন।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি জানান, এক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে এবং বাংলাদেশের জনগণকে এ বিষয়ে সক্ষম করে গড়ে তুলতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অবমাননা সম্পর্কিত অনুসন্ধান প্রতিবেদনের জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এটি সহজ কাজ ছিল না। তারপরও সময়মতো এসেছে। জাতিসংঘ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেখে আমরা খুবই আনন্দিত’।
গুয়েন লুইস বলেন , জাতিসংঘের মানবাধিকারের জন্য হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক আগামী ৫ মার্চ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশন চলাকালীন সদস্য দেশগুলোকে এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করবেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফরে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সরবরাহ কমে যাওয়ায় সৃষ্ট সংকট বিশ্বব্যাপী নজরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অর্থের সংকুলান নিয়ে খুব চিন্তিত। প্রতি মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন’।
আই/এ