দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম গুচ্ছ সংক্রমণ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
দেশে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসের গুচ্ছ সংক্রমণ (একই স্থানে একাধিক ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণ) শনাক্ত হয়েছে। জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া ৫ জন ২০২৩ সালে এ রোগের পাশাপাশি ডেঙ্গুতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্তের প্রায় এক দশক পর দেশে ক্লাস্টার সংক্রমণের তথ্য জানা গেলো।
সোমবার (৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি) তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানিয়েছেন।
সংক্রমণের বিষয়ে আইসিডিডিআর,বি বলছে, গবেষকেরা ২০২৩ সালে ঢাকার রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে আসা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করেন। জ্বরে আক্রান্ত ১৫২ জন রোগীর শরীরে জিকার লক্ষণ রয়েছে এমন সন্দেহে তাদের নমুনা পিসিআরভিত্তিক পরীক্ষা করা হয়। এতে পাঁচজনের নমুনায় জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। এই পাঁচজন রোগী এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করতেন। তাদের কেউ-ই দুই বছরের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করেননি। এসব রোগী একই সময়ে পরীক্ষা করিয়েছেন। ফলে বিষয়টি একই সংক্রমণ চক্রের অংশ হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া পাঁচজন আক্রান্তের মধ্যে একজন ডেঙ্গু ভাইরাসেও সংক্রমিত হয়েছিলেন।
এর আগে ২০১৬ সালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালিত একটি গবেষণায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি জানা যায়। ওই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। যদিও এই রোগীর বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস ছিল না। বিষয়টিতে ধারণা করা হয়, ২০১৫ সালে ব্রাজিলে প্রাদুর্ভাবের আগেই বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস গোপনে সংক্রমিত হচ্ছিলো।
প্রসঙ্গত, যে কেউ জিকা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে, তবে গর্ভবতী মহিলারা গর্ভপাত এবং জন্মগত অস্বাভাবিকতা যেমন ভ্রূণের মাইক্রোসেফালি এবং অন্যান্য স্নায়বিক অস্বাভাবিকতার ফলে জিকা ভাইরাস শিশুর সম্ভাবনার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। জিকা রোগের কোনো ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই।