গঙ্গা চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা
ভারতের কলকাতায় জেআরসির বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল
গঙ্গা চুক্তির বাস্তবায়ন এবং কারিগরি দিক নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বাংলাদেশ অংশের বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিধিদলটি প্রথমদিন সোমবার ফারাক্কা ব্যারেজ সাইট পরিদর্শন করছেন। সেখানে প্রতিনিধিরা গঙ্গার পানির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করেন।
সেখান থেকে ফিরে আগামী ৬ ও ৭ মার্চ কলকাতায় ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে ৮ মার্চ প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে ফিরে আসবে। বাংলাদেশ ও ভারতের বর্তমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে জেআরসির বৈঠককে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) সকালে প্রতিনিধি দলটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছায়। বৈঠক শেষে ৮ মার্চ প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে ফিরে আসবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জেআরসির কারিগরি পর্যায়ে এবার ৮৬তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১২ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেআরসি বাংলাদেশ অংশের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত ফারাক্কা ব্যারাজে পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল। তারপর প্রতিনিধিদলটি কলকাতায় ফিরে হায়াত রিজেন্সি হোটেলে দুটি বৈঠক করবে। প্রথম বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হবে। এটি একটি রুটিন বৈঠক। দ্বিতীয় বৈঠকে কারিগরি বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিনিধিদলটি আগামী ৮ মার্চ দেশে ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী থাকলেও কেবল গঙ্গার পানিবণ্টনেই চুক্তি রয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং তদানীন্তন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তিটি সই হয়। গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। তাই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনও পক্ষই, দু`দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
এমআর//