গুমসংক্রান্ত কমিশনে ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা

গুমসংক্রান্ত কমিশনে এ পর্যন্ত ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যক্রম নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
কমিশনের সভাপতি বলেন, জমা পড়া অভিযোগগুলোর মধ্যে প্রায় ১,০০০টি অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৪৫ জন কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, এখনও ফিরে না আসা ৩৩০ জন গুমের শিকার ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপার ও বিজিবির সেক্টর কমান্ডারদের কাছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য চাওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও বিজিবির পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তির পর অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। তবে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামের এক গুমের শিকার ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়েছে বলে জানা গেছে, এবং এ বিষয়ে কমিশনের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই-আড়াই বছরে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১,০৬৭ জন বাংলাদেশির নাম-ঠিকানা সংবলিত একটি তালিকা পাওয়া গেছে। তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কমিশন প্রধান বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায় পুরো বাহিনীর ওপর বর্তায় না। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হলে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কালিমা মোচন হবে এবং বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
এই ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিশনের সদস্য নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন ।
এসি//