সন্তানদের খবর রাখেন না জেমস: রথি

নব্বইয়ের দশকের রূপালী পর্দার জনপ্রিয় নাম কানিজ রাবেয়া রথি, যিনি ঢালিউডে চাঁদনী নামে পরিচিত। ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর ‘নতুন মুখের সন্ধান’ প্রতিযোগিতার বিজয়ী আমিন খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমায়। তবে এরও আগে কিংবদন্তি পরিচালক সুভাষ দত্তের ‘আগমন’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তার অভিষেক ঘটে, তখন তিনি ছিলেন মাত্র এক স্কুলছাত্রী।
সিনেমায় সাফল্যের দুয়ার খুলতে না খুলতেই প্রেমে পড়েন রকস্টার নগরবাউল জেমসের। ক্যারিয়ার ছেড়ে সংসারে মনোযোগ দিলেও শেষ পর্যন্ত টেকেনি সেই দাম্পত্য জীবন। বিচ্ছেদ, আইনি লড়াই, সন্তানদের ভবিষ্যৎ এবং নতুন করে নিজেকে গড়ে তোলার সংগ্রামে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। তবে এখন রথি জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছেন। ব্যবসা ও সন্তানদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই প্রাক্তন ঢালিউড নায়িকা।
‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমার মুক্তির আগেই নগরবাউল জেমসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রথি। প্রেমের পরিণতিতে ১৯৯১ সালের ১৭ নভেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিয়ের পর সিনেমায় কাজ না করার শর্ত দেন জেমস, যা মেনে নিয়েছিলেন রথি। সংসার জীবনে তাদের দুটি সন্তান জন্ম নেয়। ১১ বছর সংসার করার পর ২০০২ সালে রথিকে না জানিয়ে বেনজির সাজ্জাদ নামে এক ভক্তকে বিয়ে করেন জেমস, যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। তবে এ ঘটনায় রথি নয় বেনজিরের বাবার মামলার কারণে কারাবরণ করতে হয় জেমসকে। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রথি ও জেমসের বিচ্ছেদ ঘটে।
২০০৩ সালে বিচ্ছেদের পর ২০১০ সালে কানাডা প্রবাসী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বীপুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রথি। তবে সে সংসারও বেশি দিন টেকেনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে জেমস তার দুই সন্তানের কোনো খোঁজ রাখেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে রথি নিজেই অভিযোগ করেন, তার দুই সন্তান আবরার আলভী দানিশ ও জান্নাতুল ফেরদৌসের কোনো খোঁজ নেন না জেমস। যদিও সবখানে তিনি বলে বেড়ান, সন্তানদের সবকিছুই তিনি চালান।
গণমাধ্যমকে রথি জানান, ‘প্রথম দিকে মাঝে মাঝে ফোন করতেন, এখন তো তাও করেন না। ঈদ বা জন্মদিনের মতো বিশেষ দিনেও সন্তানের খোঁজ নেন না। মেয়ে এসএসসি পাসের খবর বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানালেও কোনো উত্তর মেলেনি, এমনকি শুভেচ্ছাও জানানো হয়নি।’
বর্তমানে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি ফুডকোর্ট চালাচ্ছেন রথি। পাশাপাশি অনলাইনে নিজের ডিজাইন করা পোশাক বিক্রি করছেন। নিজের কর্মব্যস্ততা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। যা করছি, আনন্দ নিয়েই করছি।’
সন্তানদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ফ্রিল্যান্স ভিডিও মেকিংয়ের কাজ করছে। সে ইউএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়েও কাজ করেছে। আর আমার মেয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।’
এসি//