ভিসা বন্ধ রাখা ভারতের সিদ্ধান্ত : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভিসা জটিলতা আমরা সৃষ্টি করিনি। ভারত যেকোনো কারণে হোক সেটা বন্ধ রেখেছে। ভিসা দেয়া তাদের সার্বভৌম অধিকার। কোনো দেশ কাউকে যদি ভিসা না দেয় বা কোনো গোষ্ঠীকে ভিসা না দেয়, এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না। বললেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, তিনি আশা করছেন ভারত এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বা কার্যকলাপ বাড়াবেন। যাতে লোকজন যারা ভারত যেতে চান, তারা ভিসা পান।
বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভারত ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যে কথা বলেছেন এটা কিন্তু একেবারে আমাদের অবস্থান। আমি বিভিন্ন সময়ে বলে আসছি ভালো কাজের সম্পর্ক চাই। আর এটা পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিকে করতে চাই। এই অবস্থানটা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। আমাদের প্রথম থেকে একটা স্পষ্ট অবস্থান আছে, এটা তারই প্রতিফলন। বাকিটুকু দেখা যায়, দুই পক্ষের স্বার্থ আছে। কে কীভাবে সেই স্বার্থ সেই বিবেচনা সম্পর্ক আগাবে।”
বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার মার্কিন অর্থায়নের অভিযোগ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এটি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের দুই ব্যক্তি নয় বরং মার্কিন একটি প্রতিষ্ঠান এই অর্থ পায়। পরে তারা গণতন্ত্র উন্নয়নে এদেশের কয়েকটি এনজিওর সাথে যৌথভাবে কাজ করে। বৈধ চ্যানেলে প্রক্রিয়া মেনেই এই অর্থ বাংলাদেশের কয়েকটি এনজিওতে আসে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ভিত্তিহীন। ফলে বিষয়টি নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করার মতো বাড়াবাড়ি করতে চায় না ঢাকা।
প্রসঙ্গত, গতবছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বর্তমান মেডিকেল ও কিছু জরুরী বিষয় ছাড়া বাংলাদেশকে ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে দেশটি।
আই/এ