দেশজুড়ে

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ৭ মাস পর কলেজ ছাত্রের লাশ হস্তান্তর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত শহীদ আসিফ হোসাইনের লাশ ৭ মাস মর্গে থাকার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ লাশ হস্তান্তর করেছে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ)  আদালতের নির্দেশে আসিফের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ শহরের ২নং পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুস্তাকিম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আসিফ হোসাইনের লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসিফের বাবা নজরুল ইসলাম ছেলের লাশ পেতে আদালতে আবেদন করেন। গত ২ মার্চ শুনানী শেষে বিচারক আসিফের পরিবারকে লাশ হস্তান্তর করার আদেশ দিলে দিলে আজ মঙ্গলবার আসিফের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আসিফ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একডালা পুনর্বাসন মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন।

কলেজছাত্র আসিফ হোসেনের মামা শাহীন শেখ বলেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেয় আসিফ হোসেন। শহরের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় মিছিলে অংশ নেয় সে। মিছিলে অংশ নেয়া অন্য ছাত্ররাও তাকে সেখানে দেখেছে। কিন্তু ওইদিন দুপুরের পর থেকে তাঁর ব্যবহ্নত ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এর পর পরিবারের সদস্যরা তার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। আত্মীয়-স্বজন সহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার পরিবারে থানায় সাধারন ডায়রি করে 

৫ আগস্ট ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর বাড়ির ভিতর থেকে আসিফ ও শাহিন নামে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখে।

আদালতে দাখিলকৃত আবেদনে আসিফের বাবা উল্ল্যেখ করে, তার ধারনা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী আন্দোলন দমানোর জন্য জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দিয়ে তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ জান্নাত আরা হেনরীর বাড়ির বাথরুমে লুকিয়ে রাখে।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন