জাতীয়

ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর সরে গেলো হিযবুতের কর্মীরা

পূর্বঘোষিত হিযবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রায় দুই ঘন্টা যাবত চলা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও লাঠিচার্জ শেষে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে হিযবুত তাহরীর কর্মীরা।

শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে হিযবুত তাহরীর মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।

প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত চলা সংঘর্ষের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে পল্টন এলাকায়। পল্টন মোড়ে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় পুলিশকে। তবে সংঘর্ষের পর হিযবুতের কাউকে আর দেখা যায়নি। এ ঘটনায় অন্তত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তুরস্কে খিলাফত পতনের ১০১ বছরের প্রেক্ষাপটে এই কর্মসূচি ডাক দিয়েছিলো নিষিদ্ধ সংগঠনটি। জুমার নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গেই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনের রাস্তায় জড়ো হয় হিজবুত তাহরীরের কয়েক হাজার সমর্থক। মুক্তির একপথখিলাফত খিলাফত’ স্লোগানে তারা মার্চ শুরু করেন।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দিলে তাদের ঠেলে হিযবুত তাহরীরের লোকজন এগিয়ে যেতে থাকে। পল্টন মোড়েও তাদের বাধা দিয়ে থামাতে ব্যর্থ হয় পুলিশ, এসময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন

 বিজয়নগর পানির পাম্প মোড় প্রদক্ষিণ করে পল্টনের দিকে এগোলে পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে। সেই টিয়ারশেল উপেক্ষা করে মিছিলটি পল্টন ময়দানে গেলে পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

পরে আবার একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করার চেষ্টা চালায় তারা। তখন আবারও কয়েকরাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসময় হিযবুত তাহরীরের কর্মীদেরও ইট পাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে। মিছিল থেকে কয়েকজনকে আটক করতেও দেখা গেছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন