লাইফস্টাইল

মাসিকের ব্যথার কারণ : এন্ডোমেট্রিওসিস

ছবি: সংগৃহীত

মাসিকের সময় অনেক নারীর পেটে ব্যাথা সাধারণ সমস্যা। তবে এর পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে এন্ডোমেট্রিওসিস। এই রোগে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ আস্তরণের মতো টিস্যু (এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু) জরায়ু ছাড়াও ডিম্বাশয় বা তলপেটের বিভিন্ন স্থানে বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।

এন্ডোমেট্রিওসিসের উপসর্গ : এন্ডোমেট্রিওসিসের কিছু সাধারণ উপসর্গ রয়েছে যা অনেক নারী জানেন না বা উপেক্ষা করেন। এই উপসর্গগুলো অন্তর্ভুক্ত:

১. অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিক। 

২. মাসিকের আগে ও পরে তীব্র পেটব্যথা।

৩. ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা মূত্রাশয়ের সমস্যা। 

৪. যৌনমিলনের সময় ব্যথা।  

৫. গর্ভধারণে সমস্যা। 

৬. পেটে চাপ অনুভূতি, পিঠে ব্যথা, বা শৌচকর্মের সময় ব্যথা।

এই উপসর্গগুলির মধ্যে যেকোনো একটি দেখা দিলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

এন্ডোমেট্রিওসিসের কারণ : এন্ডোমেট্রিওসিসের সঠিক কারণ পুরোপুরি জানা না গেলেও কিছু কারণ রয়েছে যা এই রোগের জন্য দায়ী হতে পারে:

১. যদি জরায়ুর ভেতরের স্তর সঠিকভাবে বের হতে না পারে, তবে তা শরীরের অন্য জায়গায় বৃদ্ধি পেতে পারে। 

২. দুর্বল ইমিউন সিস্টেমও এই রোগের সৃষ্টি করতে পারে। 

৩. যদি পরিবারের কোনো সদস্যের এন্ডোমেট্রিওসিস থাকে, তবে পরবর্তী প্রজন্মে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। 

এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা : এন্ডোমেট্রিওসিসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে এর উপসর্গ কমাতে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে:

১. যদি ওষুধ দিয়ে উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ না হয়, তবে সার্জারি করা হতে পারে।  যাতে ব্যথা এবং টিস্যু অপসারণ করা যায়। 

২. প্যারাসিটামল বা NSAIDs (ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ) ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, হরমোন থেরাপি ব্যবহারও হতে পারে। 

৩. কাউন্সেলিং ও মানসিক সহায়তা রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। 

৪. পেটের ব্যথা কমাতে কিছু ফিজিওথেরাপি পদ্ধতি সাহায্য করতে পারে।

এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা সঠিক সময়ে শুরু করা হলে, এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন