অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন: খন্দকার মোশাররফ

আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র এ দেশে বাস্তবায়িত হবে না। জনগণ সেই ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেটা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফিরিয়ে দেবে। আজকে নির্বাচনকে নানা পদ্ধতিতে বিলম্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা তো পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আর তাল-বাহানা নয়, অতি দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিন। তাহলে আপনারা সম্মানের সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল সেটা চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট। ওই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এই দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে স্মরণ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন ত্যাগী, জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন। তিনি চারবারের চিফ হুইপ ছিলেন। ২০০১ সালে আমরা অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলাম, দেলোয়ার হোসেন সাহেব একজন মন্ত্রী হবেন। কিন্তু তাকে মন্ত্রী করা হয়নি। এতে তিনি সামান্যতম মন খারাপ করেননি। আমরা অনেক ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি। আমরা কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ওনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি। তখন উনি উল্টো আমাদের বুঝিয়েছেন, রাজনীতি করি দলের আদর্শের জন্য। রাজনীতি করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। রাজনীতি কোনো পদ-পদবির জন্য করি না। এই শিক্ষাটা উনি আমাদের দিয়ে গেছেন।
এমএইচ//