আমীর হোসেন আমুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান,সাবেক এ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে এবং তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করে উক্ত টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া আমির হোসেন আমুর মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের বিরুদ্ধে বাবার সহযোগিতায় ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৮১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ১৮টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে এই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই অপরাধে সুমাইয়া হোসেন ও তার পিতা আমীর হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া আমুর শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীর কোন বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও তার ভগ্নিপতি আমীর হোসেন আমুর সহযোগিতায় অবৈধ উপায়ে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ তার নামে ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করে এই টাকা জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়েছে।
এ অপরাধে সৈয়দা হক মেরী ও তার ভগ্নিপতি আমীর হোসেন আমুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ