দেশজুড়ে

জীবিত অবস্থায়ই নিজের কুলখানি করে গেলেন বানেছা বেওয়া

জীবিত অবস্থায় নিজের কুলখানি করে গেলেন রাজশাহীর খড়খড়ি বাইপাস কমলাপুর গ্রামের প্রয়াত ইনছার আলীর স্ত্রী বানেছা বেওয়া (৯৬) বয়স হয়ে যাওয়ায় এবং নিজের সন্তানরা তার মৃত্যুর পর কুলখানির আয়োজন  করবে কি না এ সন্দেহে থেকে জীবিত অবস্থাতেই তিনি এ আয়োজন করেন।

বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) বানেছার বেওয়ার খড়খড়ি বাইপাস কমলাপুর গ্রামে চল্লিশা উপলক্ষে সাজানো হয় বিশাল প্যান্ডেল।

নীল-সাদা সামিয়ানা, গরু-ছাগল জবাই, আর দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না। দুপুর থেকেই আশপাশের গ্রাম, এমনকি দূরের মানুষও ছুটে আসেন এই ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী হতে। চল্লিশার খাবার খেতে বসেন সবাই, আর চেয়ে থাকেন বানেছা বেওয়াহৃদয় ভরে।

ওই বৃদ্ধা বলেন, বয়স হয়েছে। আর কতদিন বাঁচবো জানি নামৃত্যুর পর আমার চল্লিশা হবে কি না জানি না। সন্তানরা আমার চল্লিশা করতে পারবে কি না তাও জানি না। তা সিদ্ধান্ত নি, নিজের নিজের চল্লিশা করবো। মরার পর কি হবে তা তো বলতে পারবো না

বানেছার বয়স এখন ৯৬। অসুস্থ্যতাও তাকে ঘিরে ফেলেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি সন্তান সন্তদি থাকলেও নিজেকে একাকিত্মবোধ করেন। এই বয়সে এসে আর সন্তানদেরও তিনি ভরসা করতে পারেন না। যার কারণে সবকিছু নিজের উপর ভর করেই করেন তিনি।

১২ সন্তানের জননী বানেছা বেওয়া। এ আয়োজনে বানেছার ৮ ছেলে, ৪ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ প্রায় ৬০ জন পরিবারের সদস্য একত্রিত হনসবাই দোয়া করেন বানেছার জন্য। বানেছা বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও মনটা আজও টগবগে। ঘুরে ঘুরে আমন্ত্রিত অতিথিদের খাওয়াও দেখেছেন।

 আই/এ

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন