সীমান্তে আবারও দুই বাংলাদেশিকে হত্যা

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কৃষককে গুলি করে খাসিয়ারা এবং ঝিনাইদহের মহেশপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার সীমান্তে নিহতের নাম কুটি মিয়া (৫০)। শনিবার রাতে বাগানবাড়ি-রিংকু সীমান্ত হাট দিয়ে নিহতের লাশ হস্তান্তর করার কথা। তার কিভাবে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি পুলিশ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে দোয়ারাবাজারের পেকপাড়া এবং ভারতের মোকামছড়া দিয়ে সাত বাংলাদেশি ভারতে যান। সীমান্ত থেকে আনুমানিক ৭ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে নথরাইয়ের সুপারি বাগানে যান। সেখানে ভারতীয় খাসিয়াদের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে খাসিয়ারা ধাওয়া দিলে কুটি মিয়া ছাড়া বাকি ছয়জন ফেরত আসেন। তবে বাকিরা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেনি। ভারতের ভেতরে ৭ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে। সেখানকার পুলিশ বিষয়টি দেখভাল করছে। বাংলাদেশ পুলিশও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে নিহতের লাশ শিলং হাসপাতালে আছে।
এদিকে আর এক ঘটনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশি যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। জায়গাটি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার ধানতলা থানার হাবাসপুর গ্রামে। তাঁকে বিএসএফ সদস্যরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। বিকেলে মৃতদেহ ভেসে উঠলেও শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে সেটি উদ্ধার করে বিএসএফ নিয়ে যায়।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, মৃতদেহটি নদীর ভারতীয় অংশে ছিল। রাতে বিএসএফ মরদেহটি নিয়ে গেছে। বিএসএফ না জানানো পর্যন্ত এটির পরিচয় সম্পর্কে বিজিবি নিশ্চিত হতে পারছে না।
তিনি আরও জানান, রমজান আলীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
আই/এ