বিদেশি সহায়তা না পেলেও আমাদের অসুবিধা হবে না : বিশেষ সহকারী

আন্তর্জাতিক সহায়তা কোনও বড় ইস্যু না। এই বিদেশি সহায়তা আমাদের কলোনিয়াল নির্ভরতা। জিডিপির তুলনায় সহায়তার আনুপাতিক হার আমরা কমিয়ে এনেছি। এটার পরিমাণ খুব অল্প। এটা না পেলেও আমাদের অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভর করলে আমাদের অলসতা বেড়ে যায়। গত সরকারের আমলে বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরতা বেড়েছে ২০১০ সাল থেকে। তখন থেকে ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ১০ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে নেমেছে। এজন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এনবিআর সংস্কার করা হচ্ছে, পুলিশে সংস্কারে হাত দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, আমাদের যথেষ্ট শক্তি আছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছি। আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত এত কম হবে কেন। ভিয়েতনামে ১৯ শতাংশ, ভুটানে ১১-১৩ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ১৫ শতাংশ। এখানে আমরা এখনও ৬-৭ শতাংশে থাকবো তা তো হয় না। তিনি বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি’র অনুপাত বাড়াতে পারলে বিদেশি সহায়তা লাগবে না’।
তিনি আরও বলেন, আজকের মিটিংয়ে আমাদের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয়েছে। কোন কোন জায়গায় বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে আছে, কোথায় আরও শক্ত হতে হবে,এগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আলোচনায় সবাই মোটামুটি সন্তুষ্ট। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করতে পারবে। তবে এজন্য আগে থেকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বিশেষ সহকারী বলেন, আমাদের কর্মসংস্থানের ওপর চাপ আসতে পারে, প্রাইভেট সেক্টর চাপে পড়তে পারে, এরকম কোন কোন জায়গায় আমাদের আগামী প্রস্তুতি নেয়া দরকার, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে আমাদের থেকে অনেক দুর্বল দেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে ফেলেছে। সম্প্রতি ভুটান করোনার পরপরই বেরিয়ে গেছে। ওরা পারলে বাংলাদেশ পারবে না কেন?
আই/এ