৩৩ বছরে কয়জনকে মুক্তি দিয়েছে রাষ্ট্রপতি, জানতে চায় হাইকোর্ট

গেলো ৩৩ বছরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিরা ঠিক কতজন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছেন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। এ বিষয়ে বিস্তারিত তালিকা প্রকাশে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। শুনানিতে অংশ নেন রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
ব্যারিস্টার ফারুক জানান, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি জনস্বার্থে স্বচ্ছভাবে জানা জরুরি। এ কারণেই তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এর আগেও, ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
নোটিশে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রয়োগ করে কতজনের দণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করা হয়েছে। সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে প্রকাশের অনুরোধ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রপতি কীভাবে এবং কাদের সুপারিশে এই ক্ষমা প্রদান করেন, সেই প্রক্রিয়াটিও জনসাধারণের জানা উচিত। কারণ, একাধিক দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী, এমনকি খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্তরাও রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় মুক্ত হয়ে সমাজে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে—যা জননিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারপক্ষ থেকে কোনো জবাব না পাওয়ায় রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। এরপর হাইকোর্ট এই রুল জারি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
এমএ//