ক্যাম্পাস

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের আহ্বান

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে কুয়েট বাঁচাতে শাহবাগ ব্লকেডনামের কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সেখানে আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের আহ্বান জানায় তারা।  এ ছাড়াও বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে কুয়েটের উপাচার্যকে (ভিসি) পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতীকী অনশন পালনেরও আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

 

তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

 

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। এর আগে, ২০ এপ্রিল এক দফা দাবি পূরণের জন্য আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন