মেয়ের জন্য দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি কিনলেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া, দাম কত?

বছর দশেক আগেই মেয়ের জন্য দুবাইয়ে বিলাসবহুল একটি সম্পত্তি কেনেন বচ্চন দম্পতি। যার ভেতরে রয়েছে গল্ফ খেলার মাঠ, বিরাট বাগান, ঝর্না, বিশাল পুল-সহ যাবতীয় আধুনিক ব্যবস্থাপনা।২০১৫ সালে দুবাইয়ে এই বাড়ি কিনেছিলেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক।
দুবাইয়ের জুমেইরা গল্ফ এস্টেটে তারকা দম্পতির বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। এই বাড়ির দামও আকাশছোঁয়া। এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, এই বাড়ির দাম ১৬ কোটি টাকা। বাড়িতে রয়েছে উন্নত মানের সুইমিং পুল।
এই বাড়িটি শুধুমাত্র শৈলী এবং বিলাসিতার প্রতীক নয় বরং , তাদের পরিবারের জন্য সুরক্ষিত এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আরাধ্যা এখন ১৩ বছর বয়সী। সে যখন সেই বাড়িতে বেড়ে উঠবে , তার জন্য তখন সেটি এক বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে।
দুবাইয়ের জুমেইরা গল্ফ এস্টেট এলাকা শুধু একটি বিলাসবহুল আবাসন প্রকল্পই নয় , এটি তারকাদের জন্য একটি প্রভাবশালী গন্তব্যও। এখানেই বাস করছেন বলিউডের কিং শাহরুখ খান , তারকা শিল্পা শেঠী এবং ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি অনন্ত আম্বানী। এই এলাকাটির সুনাম এবং প্রভাব এতটাই , যে পৃথিবী জুড়ে এর খ্যাতি রয়েছে। তবে সম্পত্তির দিক থেকে বচ্চন দম্পতি কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন।
বর্তমানে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রায় ৭৭৬ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিক। যেখানে তার স্বামী অভিষেকের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮০ কোটি টাকা। এই বিশাল সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে দুবাইয়ের বাড়ি ছাড়াও মুম্বাইয়ের একাধিক প্রাসাদ , যা তাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ এবং আরামদায়ক করে তোলে। সেলিব্রেটি দম্পতির এই সম্পত্তির মধ্যে শুধু বিলাসিতা নয় , পরিবার এবং ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন পথের চিহ্নও রয়েছে।
২০০৭ সালে একে অপরকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পরিণয়ে বাঁধা পড়েন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক দম্পতি। ২০১১ সালে তাদের জীবনে আসে আরাধ্যা । তারপর থেকে ঐশ্বরিয়া তার অভিনয়ের কর্মজীবন কমিয়ে দিয়ে পুরোপুরি মায়ের ভূমিকায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। ঐশ্বরিয়ার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রমাণ তার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিলেছে , যেখানে তারা ১৮তম বিবাহবার্ষিকীতে একসঙ্গে থাকার দৃশ্যটি শেয়ার করে জানান , তাদের সম্পর্ক আগের মতোই অটুট।
এখন যখন আরাধ্যা ১৩ বছরে পা দিয়েছে , অভিভাবকরা আবারও তার ভবিষ্যতের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন। সেই চিন্তায় তারা শুধু সম্পত্তি এবং নিরাপত্তার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাছাড়া পরিবারকে একটি সমৃদ্ধ , নিরাপদ এবং সুখী জীবন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এসকে//