বাবার মৃত্যুর পরেও অংশগ্রহণ করলেন পরীক্ষায়

খাইরুল বেপারী নামের এক শিক্ষার্থীকে বাবার মৃত্যুর শোক নিয়েই এসএসসি পরীক্ষায় বসার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই সে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়।
খাইরুল যেন সব পরীক্ষায় অংশ এবং ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে সেই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী।
এলাকাবাসী জানায় , খাইরুল বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম আমজেদ বেপারী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে খাইরুল সবচেয়ে ছোট। তাদের বাড়ি বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাগলের পাড় গ্রামে।
বুধবার সকালে বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই খাইরুল তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিবিচিনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় । সে ৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দেয়। আসর নামাজের পরই তার বাবার দাফন করা হবে।
খাইরুলের পরিবার সূত্রে জানা যায় , আমজেদ বেপারী বুধবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। পেশায় দিনমজুর ছিলেন তিনি। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ তার উপার্জিত অর্থ দিয়েই চলতো। আমজাদের মৃত্যুতে তার পরিবার অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেল।
পুটিয়াখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন , ‘মৃত্যুর খবর শুনে আমি খাইরুলের বাড়িতে যাই। তাকে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেই। পরে সে সাহস নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন , খাইরুলের বাবার মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তার পরিক্ষায় সকল রকম সহযোগিতা করা হবে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবরও রাখা হবে।
এসকে//