ফুলবাড়ীতে সড়ক সংস্কার না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের প্রাণকেন্দ্র আদর্শ মোড় থেকে তিনকোণা মোড় পর্যন্ত মাত্র ৩০০–৩৫০ মিটার রাস্তা। দূরত্ব সামান্য হলেও সড়কটির ভোগান্তি দীর্ঘ সময়ের। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় পথচারীদের কাছে এটি এখন এক মৃত্যুফাঁদ।
এই সড়ক দিয়ে বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ , নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ , বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় , সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , কিন্ডারগার্টেনসহ অন্তত ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে।এছাড়া পাশে রয়েছে বিজিবি ক্যাম্প , গ্রামীণ ব্যাংক , আশা এনজিও এবং ইউনিয়ন পরিষদ অফিস।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানিয়েছেন , রাস্তার একাংশ এলজিইডি এবং আরেকাংশ জেলা পরিষদের আওতায়। বারবার আবেদন করলেও এখনো কোনো সংস্কার হয়নি।
ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন , এখান থেকে সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব নিচ্ছে অথচ সড়ক সংস্কারে কারও কোন দায় নেই।
সপ্তাহে দুই দিন বালারহাটে বসে বিশাল হাট। গরু , ছাগল , সুপারি , কাপড় , আসবাবপত্র থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসের কেনাবেচা হয় এই হাটে। দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে হাটের মূল সড়কটি অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের মতে , রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে হয়েছে অসংখ্য গর্ত। সড়কে কোনো পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা পানি জমে যায়। এতে পথচারীদের চলাচল শুধু কষ্টকরই নয় ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণও হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শত শত শিক্ষার্থী।
অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সরকার বলেন ,আমাদের দুই প্রতিষ্ঠানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই ভাঙা সড়কে যাতায়াত করছে । আমরা বারবার আবেদন করেও কোনো সমাধান পাইনি।
আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শুভশ্রী রায় জানান , বৃষ্টির দিনে স্কুলে যাওয়ার পথে পোশাক ভিজে যায়, ময়লা হয়, পড়াশোনা তো দূরের কথা, মনটাই খারাপ হয়ে যায়।
এদিকে, সড়ক সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান।
এসকে//