ক্যাম্পাস

পদত্যাগ করিনি, বরং তদন্ত চাই: কুয়েটের সহউপাচার্য

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহউপাচার্য শেখ শরীফুল আলম জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেননি। গণমাধ্যমে তার পদত্যাগ নিয়ে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা ভুল ও বিভ্রান্তিকর বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) একটি গণমাধ্যমে শেখ শরীফুল আলম জানান, ‘আমি পদত্যাগ করিনি, এমনকি পদত্যাগের জন্য কোনো চিঠিও পাঠাইনি। বরং আমি একটি চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছি, আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে যেন কোনো একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়। তদন্ত সাপেক্ষে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

এর আগে এদিন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয় কুয়েটের উপাচার্য ও সহউপাচার্য পদত্যাগ করেছেন এবং অধ্যাপক হারুন অর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে শেখ শরীফুল জানান, তিনি এ বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল মেইল এখনো পাননি।

শিক্ষা উপদেষ্টাকে দেওয়া চিঠিতে শেখ শরীফুল আলম উল্লেখ করেন, তিনি ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সহ-উপাচার্য পদে যোগ দেন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উপাচার্যের কাছ থেকে কোনো ধরনের প্রশাসনিক কিংবা আর্থিক সহায়তা তিনি পাননি। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার যে সীমিত কিছু দায়িত্ব থাকার কথা ছিল, সেটিও চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির জরুরি সভায় বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে গত চার মাসে তাকে কার্যত কোনো দায়িত্বই পালন করতে দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে কোন অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তা আমি এখনো জানি না। আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এভাবে হঠাৎ করে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন