ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় ইউএইকে প্রধান উপদেষ্টার কৃতজ্ঞতা
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদানের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি দেশটির বিনিয়োগ আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বুধবার (০৭ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউএই’র ‘সহনশীলতা ও সহাবস্থান’ বিষয়ক মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে পারস্পরিক সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়, যেখানে তাদের অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
সাক্ষাতে শেখ নাহায়ান জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সংহতির বার্তা নিয়ে তিনি দেশের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা—সবখাতেই আমরা একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।‘
ড. ইউনূস তার জবাবে বলেন, ‘এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে ভিসা প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।‘
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এখনো যেসব জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন, সেগুলোও যৌথভাবে সমাধান করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে। ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের প্রক্রিয়াও সহজতর হয়েছে। দক্ষ কর্মীদের জন্য চালু হয়েছে অনলাইন আবেদন ব্যবস্থা।
সম্প্রতি বিপণন, হোটেল ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা খাতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভিসা দেওয়া হয়েছে—এর মধ্যে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য ইতোমধ্যে ৫০০টি এবং আরও ১,০০০ ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৈঠকে ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হমোদি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ ত্যাগ করে।
