লঞ্চঘাটে তরুণীদের মারধর, যুবক আটক

মাদক-অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে এম ভি ক্যাপ্টেন নামের একটি লঞ্চে নারীদের প্রকাশ্যে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নেহাল আহমেদ জিহাদকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে নেহালকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম। এর আগে এ ঘটনার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে উঠতি বয়সী ৩০০-৪০০ ছেলে-মেয়ে পিকনিক ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে লঞ্চটি ভাড়া করে। কিছু ছেলে-মেয়েরা লঞ্চের ছাদে গান-বাজনা ও নাচ করে। সদরঘাট থেকে রওনা হয়ে চাঁদপুর ঘুরে লঞ্চটি আবার ঢাকায় ফেরার পথে রাত সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থামায়।
এই সময় লঞ্চে থাকা ৮-১০ জন ছেলে মেয়ে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য নিচে নামলে অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে ঘাটে থাকা ৫০-৬০ জন ছাত্র-জনতা লঞ্চটিতে উঠে পিকনিকের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে লঞ্চে থাকা ছেলে-মেয়েদের হেনস্তা ও মারপিট করে। এই সময় গাড়ি নিয়ে লঞ্চে ভাঙচুর চালায় তারা। পরে দুই তরুণীকে লঞ্চের সামনে এনে প্রকাশ্যে প্রহার করে।খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় লঞ্চ যাত্রিরা অভিযোগ করেন স্থানীয়রা তাদের মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। পরে পুলিশ লঞ্চটি গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে নেহাল জানান, ঘাটে শত শত মানুষ ছিল। তিনি যদি মেয়েদের কয়েকটি বাড়ি দিয়ে সবাইকে শান্ত না করতেন, হয়ত মেয়েগুলোর সঙ্গে আরও খারাপ আচরণ হতো। তাদের কয়েকটি মোবাইলও নিয়ে গিয়েছিলো, সেগুলোও তিনি উদ্ধার করেন। দুই তরুণীকে মারা তার ঠিক হয়নি, তবে পরিস্থিতি শান্ত করতেই ভাই হিসেবে তিনি এ কাজ করছেন। এর জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে জিডি করে তদন্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।
আই/এ