ভারতের বাংলাদেশি চ্যানেল বন্ধে ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার

ভারতে বাংলাদেশি ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব। দেশটির দর্শকরা এখন এই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব কনটেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না।শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব।
তথ্য যাচাইকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার (০৯ মে) যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভির ইউটিউব সম্প্রচার ভারত থেকে বন্ধ করা হয়। আজ শনিবার তাদের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন করে সময় টিভি ও ডিবিসি নিউজের সম্প্রচারও বন্ধ করা হয়েছে।
এই ছয়টি চ্যানেল ইউটিউব ভেরিফায়েড এবং তাদের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি। ভারতে এসব চ্যানেলের ইউটিউব লিংকে প্রবেশ করলে একটি বার্তা দেখা যাচ্ছে— "এই কনটেন্ট বর্তমানে এই দেশে প্রদর্শনের জন্য অনুমোদিত নয়। এটি ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯(ক) ধারা অনুযায়ী সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।"
ভারত সরকার দাবি করছে, জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইউটিউবের কাছে দ্রুত ব্যাখ্যা চাইবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, “এই চ্যানেলগুলো বৈধভাবে সম্প্রচার করে আসছে এবং ভুয়া বা উসকানিমূলক কনটেন্ট প্রচারের নজির নেই। ইউটিউব যদি গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারে, তাহলে বিষয়টি ভারতের রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রয়োজনে বাংলাদেশও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।”
ফয়েজ আহমদ অভিযোগ করেন, ভারতের কিছু গণমাধ্যম— বিশেষ করে রিপাবলিক বাংলা— নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে আসছে। তিনি বলেন, “প্রয়োজনে সেইসব চ্যানেলের বিরুদ্ধেও বাংলাদেশ অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে পারে।”
এসি//