আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন

আগামীকালের হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলে হুশিয়ারি দিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী।

আজ শনিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ হুশিয়ারি দেন।

এসময় কাসেমী বলেন, মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ‘শহীদ’দের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। হরতালে বাধা দিলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে।

সমাবেশে ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, মসজিদে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। হেলমেট বাহিনী মহড়া দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করেছে। রাজপথে নেমে এলে পুলিশের আশ্রয়ে থাকা হেলমেট বাহিনী পালানোর পথ পাবে না।

ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ‘আগামীকাল মাঠে থাকব। গাড়ির চাকা ঘুরবে না। অফিস–আদালত বন্ধ থাকবে।’

বিক্ষোভ কর্মসূচির সভাপতি হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর পাশের সিঁড়িতে অবস্থান নেন। দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ, সরকারি দলের ছাত্র-যুব-স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এরফলে হাটহাজারীতে চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হন। আহত হন দেড় শতাধিক।

হতাহতের প্রতিবাদে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ এবং রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলাম। 

শুভ মাহফুজ/সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন