সাবেক দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ
রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক দুই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও কে এম নূরুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই শামসুজ্জোহা সরকার এই রিমান্ড আবেদন করেন। তাদের ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে গেলে ২২ জুন রাজধানীর শের-এ বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন খান। তিনি অভিযোগে বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলোর সময় দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার এবং তাদের সহযোগীরা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
ওই তিন নির্বাচনের সময় ‘গায়েবি মামলা’, গুম, অপহরণ ও ভয়ভীতির মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ভোট ছাড়াই প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়।
অনেক ভোটার, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। ব্যালট পেপারের সিল ও স্বাক্ষর বিশ্লেষণ করেও প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব। মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, তাদের সময়কার নির্বাচন কমিশনার, সাবেক পুলিশের আইজি আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অনেককে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
সেই প্রেক্ষিতে গেল ২৩ জুন নূরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন আদালত। পরে, ২৬ জুন (বুধবার) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এমএ//