অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, এনবিআর শাটডাউন কর্মসূচি বহাল থাকবে
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংস্কার ঐক্য পরিষদ। আগামীকাল ২৮ জুন থেকে কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের অধীনে সব দপ্তরে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হবে। একইসঙ্গে রাজস্ব সংস্কার দাবিতে ঢাকা এবং সারা দেশ থেকে শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা যৌথভাবে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
ঐক্য পরিষদ জানায়, অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ২৭ জুনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হলেও, ২৬ জুন অনুষ্ঠিত সভায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে ঐ সভায় সংগঠনের কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বার্থ বিবেচনায় আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ‘কমপ্লিট শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। তবে অন্যান্য কার্যক্রম পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বন্ধ থাকবে।
আন্দোলনরতদের দাবি, তাদের চলমান আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং দেশ ও দশের স্বার্থে যৌক্তিক দাবির ভিত্তিতেই এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এনবিআরের কাঠামোগত সংস্কার, প্রশাসনিক কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের অপসারণসহ একাধিক দাবিতে সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ আরও জানিয়েছে, তারা সংকট সমাধানে যে কোনও সময় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ‘সানুগ্রহ হস্তক্ষেপ’ তারা কামনা করেছে।
এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয়য় জানায়, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআরের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে শনিবারের ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি প্রত্যাহারসহ বৈঠকে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পরে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে চলমান আন্দোলনের কারণে কাস্টমস, আয়কর ও ভ্যাট দপ্তরসহ রাজস্ব আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোতে জনসাধারণ কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে দপ্তরে উপস্থিতি ও সেবা নিশ্চিতে কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আই/এ