দেশজুড়ে

আজও ফেনীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, বাড়তে পারে নদীর পানি

ফেনীতে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ভারতীয় সীমান্তবর্তী উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী একদিনে আরও বাড়তে পারে নদীর পানি।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বুধবার (০৯ জুলাই) সকাল ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মুহুরী সেলনিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে এবং মহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। 

বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সেলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৪টি পয়েন্ট ভেঙে পড়েছে। এর ফলে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে।

এছাড়া বন্যা তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী , হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে গোমতী নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। 

উক্ত নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ০১ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী ০২ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মুহরী নদী ফেনী জেলায় সতর্কসীমায় (বিপদসীমার কাছাকাছি) প্রবাহিত হতে পারে এবং নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অভিভারী ও পরবর্তী ০২ দিন মাঝারি থেকে মাঝারি-ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693) খোলা হয়েছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন