আইন-বিচার

ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠালো আদালত

ছবি: সংগৃহীত

কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাতকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শুক্রবার (১১ জুলাই) আদালত এই নির্দেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গেল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে ড. আবুল বারকাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং আজ শুক্রবার আদালতে তোলা হলে শুনানির পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলা দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন।

অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় এই অপরাধ ঘটেছে। মামলায় ২৩ জন আসামি রয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-  বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক মোছাম্মৎ ইসমত আরা বেগম, জনতা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাথ।

এছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন কর্পোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার (শিল্প ঋণ-১) মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক ও সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুককে আসামি করা হয়েছে। এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহাকে আসামি করা হয়েছে ।

দুদক জানিয়েছে, আসামিরা পরিকল্পিতভাবে জনতা ব্যাংক থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন। তারা জালিয়াতি ও মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে এই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারাসহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ড. আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে বিশাল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্ত চলমান এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও আসেনি। আসামিদের বিরুদ্ধে আরও গভীর তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।

এসকে// 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন