মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যা জানালো র্যাব
রাজধানীর পুরান ঢাকায় জনসম্মুখে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, গেল ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে ব্যবসায়ী মো. সোহাগ নামের একজনকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন বাদী হয়ে ডিএমপির কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৪ নং এজাহারভুক্ত আসামি আলমগীর (২৮) ও ৫ নং এজাহারভুক্ত আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ডে যে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে, এর মূল তদন্ত ডিএমপি করছে। তারাই তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বের করবে। র্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে ডিএমপিকে সহায়তা করছে। তদন্ত গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে র্যাব।
প্রাথমিক তদন্তে র্যাব কী পেয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, এটার ব্যাপারে ছায়া তদন্ত চলমান। এখনো ফলাফল জানানোর মতো পর্যায়ে নেই আমরা। এই অভিযোগের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামি যারা আছে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মামলার যারা মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা তারাই এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
ঘটনাটি কী কারণে ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে এটার বিস্তারিত বলার মতো অবস্থায় আমরা নেই। আপাতত আমরা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি।
উল্লেখ, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এমএ//