জাতীয়

ফিরে দেখা জুলাই গণঅভ্যুত্থান: সারাদেশে কারফিউ জারি

২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, শুক্রবার। পুরোদমে চলছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন। পূর্বঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন, সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এদিন সারাদেশে ২৬ জন নিহত হয়।

শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে নামেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।

সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩০০ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন করা হয়। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন।

রাজধানীর বাড্ডা, গুদারাঘাট থেকে গুলশান ১ নম্বরের দিকে যেতে সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা উত্তরা পূর্ব থানার কাছে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। 

পরে আন্দোলনকারীরা উত্তরা রাজলক্ষ্মী সেন্টার ও বিএনএস টাওয়ারের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। 

অন্যদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় সকাল থেকে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। সেখানে পুলিশ কয়েক দফায় রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। 

এছাড়া যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মালিবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট–সেবা। রাতে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক তিন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে ৯ দফা ঘোষণা দেন।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন