বর্ষার ভোরে পঞ্চগড়ে শীতের কুয়াশা
পঞ্চগড়ের আকাশে তখনো রাতের ছায়া, কিন্তু সময় ভোর ছয়টা। হঠাৎই যেন বর্ষাকালের বুক চিরে নেমে এল শীতের আগমনবার্তা—ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। শিশিরে ভেজে ওঠে ঘাসফড়িংয়ের ডানা। এমন এক সকালে ঘর থেকে বের হয়ে থমকে দাঁড়িয়েছেন জেলার বাসিন্দারা।
স্থানীয় প্রবীণরা জানিয়েছেন, গত ৫০ বছরেও বর্ষাকালের কোনো সকালে এমন কুয়াশা দেখেননি তাঁরা। কেউ কেউ বলছেন, এটা জলবায়ু পরিবর্তনেরই এক অস্বাভাবিক ইশারা।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৫-২৭ ডিগ্রির মধ্যে, আর দিনে ৩২ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মতো উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
ভোরের কুয়াশায় শিশিরে ভেজা ধানখেত আর সবুজ ঘাসে শীতের আবেশ। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে, যেন কুয়াশার পর্দা ঠেলে এগোচ্ছে কোনো হারিয়ে যাওয়া শহরের গল্প। সকাল আটটার পর দেখা মেলে ঝলমলে রোদের, তবে সেই সঙ্গে বাড়ে ভ্যাপসা গরমও।
পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় এলাকার বাসিন্দা নিশাত বলেন, “সকালে বের হয়ে দেখি কুয়াশায় চারদিক ঢেকে গেছে। অথচ বাতাসে গরমও। বর্ষাকালে এরকম কুয়াশা আগে কখনো দেখিনি।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান জানান, রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে গেছে, আর বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তা ঘনীভূত হয়ে কুয়াশা তৈরি করেছে।