অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাধাগ্রস্তের শঙ্কা নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি নিয়ে এখন আর শঙ্কার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এখন থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে, যা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, ওয়াশিংটনে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনার পর হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই শুল্ক হার ঘোষণা করা হয়। 

আলোচনার পূর্ববর্তী পর্যায়ে প্রথমে শুল্ক হার ছিল ৩৭ শতাংশ। পরে তা ৩৫ শতাংশ করা হয়েছিলো। তবে বাংলাদেশ ২০ শতাংশের কম প্রত্যাশা করেছিলো।

এই আলোচনায় বাংলাদেশি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজেই। আলোচনার ফলাফলকে ‘গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, এটি শুধু একটি চুক্তি নয়, বরং এটি বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় শক্ত ভিত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, “২০ শতাংশে শুল্ক কমিয়ে আনা মানে ১৭ শতাংশ পয়েন্টে ছাড় পাওয়া—এটি আমাদের আলোচক দলের দূরদর্শিতা, দক্ষ কৌশল এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারের পরিষ্কার প্রমাণ।”

তিনি আরও জানান, দীর্ঘ কয়েক মাসের টানা আলোচনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের দল যে সফলতা এনেছে, তা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বাজারে প্রবেশের সুযোগকে আরও প্রসারিত করেছে।

এদিকে, হোয়াইট হাউসের ঘোষণায় শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও বেশ কয়েকটি দেশের জন্য শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ এবং মিয়ানমারের ওপর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সময় অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকেই এসব নতুন শুল্ক হার কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

 

এমএ//

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন