আন্তর্জাতিক

খালি পায়ে ১২ কি.মি. হেটে ত্রাণকেন্দ্রে এসেছিলো ছোট্ট আমির, ফিরল না আর

রোদের তাপে কাঁপছিল গাজার বালুর রাস্তা। চারদিকে ধ্বংসস্তূপ আর ক্ষুধার্ত চোখ। সেই ধুলোমাখা পথ ধরেই হেঁটে আসছিল এক শিশু। নাম আমির। বয়স বড়জোর আট বা নয়। পায়ে কোনও জুতা নেই। মাত্র একমুঠো খাবারের আশায় খালি পায়ে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছিল শিশু আমির। কিন্তু সে আশা পূরণ হতেই না হতেই ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় সে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা দিতে আসা এক সাবেক মার্কিন সেনা অ্যান্থনি আগুইলার হৃদয়বিদারক সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।

গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) হয়ে কাজ করা অ্যান্থনি বলেন, ঘটনাটি ঘটে ২৮ মে। সেদিন রোদ ঝলমলে আকাশের নিচে, অত্যন্ত দুর্বল শারীরিক অবস্থায় দীর্ঘ পথ হেঁটে ত্রাণ সংগ্রহ কেন্দ্রে পৌঁছায় ছোট্ট আমির।

তার সংগ্রহ ছিল মাত্র এক মুঠো চাল আর কিছু ডাল, যেগুলো মাটিতে পড়ে ছিল। এতেই সন্তুষ্ট হয়ে শিশুটি অ্যান্থনির কাছে এসে তার মালপত্র রেখে, তার হাত চুমু খেয়ে ইংরেজিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সব বদলে যায়। আমির ত্রাণ নিয়ে ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরাইলি সেনারা সেখানে হামলা চালায়। গুলির আঘাতে সেখানেই প্রাণ হারায় শিশুটি।

ঘটনার কথা স্মরণ করে অ্যান্থনি বলেন, ‘সেদিনটি গাজার আর দশটা দিনের মতোই ছিল— কিন্তু আমিরের জন্য মৃত্যু এসেছিল যেন হঠাৎ ঝড়ের মতো।’

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন