অপরাধ

চাঁদার টাকায় বিলাসী জীবন ‘সমন্বয়ক’ অপুর

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় ঢুকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় ধরা পড়েছে জানে আলম অপু। তিনি নিজেকে 'সমন্বয়ক' হিসেবে পরিচয় দিতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সক্রিয় থাকলেও, তার জীবনধারা হঠাৎ করেই বদলে যায় বিলাসিতায়। অপু একসময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন, যদিও বর্তমানে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থেই অপু গড়ে তোলেন তার স্বচ্ছলতা। তিন লাখ সাত হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন ইয়ামাহা এফজেড-এক্স মোটরসাইকেল। তবে বিলাসের সেই জীবন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।

শুক্রবার (০১ আগস্ট) গোপীবাগ এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোহাম্মদপুরের নবীনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৩ লাখ ৭ হাজার টাকার মোটরসাইকেলটি। অভিযানে চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও বেশ কিছু প্রমাণও জব্দ করা হয়েছে।

গুলশান থানায় করা মামলার এজাহারে থাকা ছয় আসামির মধ্যে সবাইকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ১৭ জুলাই অপু ও তার সহযোগী মো. আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে তার স্বামীর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন।

তারা দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে তারা এই চাঁদা চাইছেন এবং টাকা না দিলে তাকে ‘দালাল’ হিসেবে পুলিশে তুলে দেওয়া হবে।

তারা সেদিন ১০ লাখ টাকা নিয়ে চলে যান। পরে অপু নিজের অংশের টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি কেনেন। এরপর আবারও একাধিকবার চাঁদার বাকি অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালায় তারা। ২৬ জুলাই তৃতীয়বার তারা প্রায় ১৫-২০ জন সঙ্গী নিয়ে আবারও বাসায় যান এবং চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।

পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলে, শাম্মী আহমেদের স্বামী ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশে খবর দেন। দ্রুত অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে, যদিও অপু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও ধরা পড়লেন।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন