দেশজুড়ে

গভীর রাতে চা বাগানে গিয়ে আর ফিরলো না ইমাম

সিলেটের জাফলংয়ের একটি চা বাগানে ইমাম উদ্দিন (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ বাগানের একটি কক্ষ থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইমাম উদ্দিন উপজেলার মেদি গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে চা বাগানের ভেতর ইমাম উদ্দিনকে আটক করে মারধর করা হয়। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া গেলে বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

বুধবার (০৬ আগস্ট) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক কপিল উদ্দিন লিটন এবং দুই কর্মচারী নিরঞ্জন গোয়ালা ও আক্কেল প্রধানকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে কয়েকজন লোক ইমামকে আটক করে বাগানের একটি কক্ষে আটকে রাখে এবং বেধড়ক মারধর করে। সকালে খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা বাগানে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের চাপের মুখে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার এবং তিনজনকে আটক করে।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ বলেন, প্রাথমিকভাবে চুরি সন্দেহে বা নারীসংক্রান্ত কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং এখনও মামলা হয়নি।

এ দিকে সিরাজগঞ্জে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে বাবু মিয়া (৩৭) নামে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার বনবাড়িয়া চর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নৌ পুলিশের ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে ৩টি চোরাই গরু নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তিনজন নিহত হন। ঘটনাস্থলেই আব্দুর রাজ্জাক ও রাশেদুল ইসলাম মারা যান। ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া বাবু মিয়া পানিতে ডুবে মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন