আসন দিয়ে আমাদের কেনা সম্ভব নয়
বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করব না : হাসনাত
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন মানে হবে মধ্যরাতের ভোটের পুনরাবৃত্তি। আমরা বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করব না। জনগণের সামনে বিকল্প থাকতে হবে। আগের মতো ওসি নির্ভর বা প্রশাসননির্ভর নির্বাচন আমরা চাই না।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণপরিষদ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, ‘আমরা বিক্রি হতে আসিনি। আসন দিয়ে আমাদের কেনা সম্ভব নয়। নতুন বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের আস্থা থাকলেই আমরা টিকে থাকব।’
তিনি বলেন, নির্বাচন যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত, তবে সেটা অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে। নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে—যেকোনো সময় নির্বাচন হোক। কিন্তু পুরোনো নিয়মে না। জনগণের সামনে প্রকৃত অপশন থাকতে হবে। জনগণ যদি এনসিপি প্রত্যাখ্যান করে, সেটা তারা মেনে নেবে। কিন্তু সমঝোতার মধ্য দিয়ে কোন নির্বাচন তারা করবেন না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান এখন টেক্সট বুক অব ফ্যাসিজম। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে এই রাষ্ট্রব্যবস্থা কার্যকর নয়। নতুন সংবিধান ছাড়া জনগণের রাষ্ট্র গড়া সম্ভব না।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছড়ানো হচ্ছে এমন অভিযোগ করে এ এনসিপি নেতা বলেন, ‘তবে এখন পর্যন্ত একটি প্রমাণও হাজির করা যায়নি। এক বছরে একজনও যদি প্রমাণ দিতে পারে যে আমরা দুর্নীতি করেছি—নথি, অডিও, ভিডিও, সিসিটিভি ফুটেজ—তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কিন্তু ভুয়া সংবাদ দিয়ে চরিত্রহনন করা হলে তার দায় নিতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্যসচিব জহুরুল ইসলাম, আরিফ সোহেল ও ফরিদুল হক।
আই/এ